#এইসব দিনগুলি ২
#এইসব_দিনগুলি_২
নারায়নগঞ্জ শহরটা ঘুরে দেখা দরকার।দুলাভাই গাড়ি পাঠায় দিয়েছে শহর ঘোরার জন্য,তার দাবি উনার গাড়িতেই ঘুরতে হবে।কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় ভাবতেই মনে পড়লো র্যাবের এক অফিসার চায়ের দাওয়াত দিয়েছে।ব্যাপারটা খারাপ হয়না,শহর ঘোরার শুরুটা এক র্যাব অফিসারের সাথে দেখা করা দিয়ে হয়ে যাক।যদিও চায়ের দাওয়াত তথাপি সাথে কেক-মিষ্টিও পাওয়া গেলো।আমার ধারনা ছিল,এইসব জায়গার কেক-মিষ্টি বাজে হয়।কিন্তু খাওয়ার পরে সেই ধারনা পাল্টে গেল।
আরেক জায়গার কেক সবচে ভালো হয়।সেটা হল অনন্যার হাতের।আমার ধারনা অনন্যার হাতটাই পৃথিবীর সবচে সুন্দর হাত।ইচ্ছা করছে এখন হুট করে ওর হলের সামনে চলে যাই,সাথে গাড়িতো আছেই।চমকে দেয়া যাবে।টিএসসিতে বসে আড্ডা দেয়াও যাবে।অবশ্য সে আসবেনা।অবশ্য ভালো হত যদি ঢাবিতেই ভর্তি হয়ে যেতাম।ভুল হয়ে গেছে ব্যাপারটা।একদিন সময় করে চাকরিটা ছেড়ে দিতে হবে।যা আমার সব ধরে রেখেছে তাকে ছেড়ে দেয়াই উচিৎ।
নাহ নারায়ণগঞ্জ ভালো লাগছেনা,এখানের জ্যামে ডানেবামে রিক্সায় বসা সুন্দরীরা থাকেনা।অথবা থাকেনা শাহবাগ -সায়েন্সল্যাব অভিমুখী ফাল্গুন-তরংগ বাস।অনিন্দ্য ভাইয়ের সাথে দেখা করা যায়।সে বর্তমানে ঢাকায় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ করানো নিয়ে ব্যস্ত।কি অদ্ভুত তাইনা!!যে লোকটা নিজে কুচকাওয়াজ করার সময় ফাঁকিবাজি করে বিশ্বরেকর্ড করেছে বিএমএতে, সেই কিনা ন্যাশনাল প্যারেড এ কমান্ড করবে।এইভাবেই চলে দুনিয়া,ব্যাকবেঞ্চাররা নেতৃত্ব দেয়।আজিজের মত তোতলারা সেরা ড্রিল কমান্ডার হয়।আমরা পড়ে থাকি সাধারনের কাতারে,অসাধারণ হয়ে।
কৃতজ্ঞতা Lt. Shafique
Comments
Post a Comment